Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

Title
Development activities
Attachments

১। উত্তরাঞ্চলের মধ্যে ১১ টি উপজেলা বিশিষ্ট ৩৬ লক্ষাধিক জনবসতির একটি বৃহৎ জেলা নওগাঁ। অত্র জেলার সাধারণ মানুষের উন্নত চিকিৎসা সেবার একমাত্র নির্ভর যোগ্য প্রতিষ্ঠান অত্র হাসপাতাল । এ হাসপাতালে আগত সাধারণ রোগী যারা অল্প শিক্ষিত বোঝে কম তাদেরকে দালল চক্র নানারূপ প্রলোভন দেখিয়ে হাসপাতালের বাহিরে নিয়ে যেত এতে করে রোগীদের অনেক টাকা খরচ হত পাশাপাশি সরকার হাসপাতালে রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হত। বর্তমান তত্ত্বাবধায়কের অনেক প্রচেষ্টার ফলে দালাল চক্র নির্মুল হয়েছে এবং যে প্যাথলজীক্যাল বিভিন্ন পরীক্ষা পরীক্ষাগুলি দালাল চক্রের মাধ্যমে বাহিরে যেত সেগুলি এখন হাসপাতালে হচ্ছে যার ফলে রাজস্ব আয় আগের তুলনায় অনেক বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

২। অত্র হাসপাতালে আগত সাধারণ রোগী যাদের আল্ট্রাসনোগ্রাফী অথবা ই,সি,জি করতে হয় তাদের মধ্যে যারা হাসপাতালের কিছু্ই চিনতে পারে না তারা রোগী নিয়ে খুব সমস্যায় পড়ে। ২ তলা বললেই প্রথম সিড়িদিয়ে উপড়ে উঠে এসে আল্ট্রাসনোগ্রাফীর রুম খুজত এবং  অসুস্থ্য রোগীদের দোতালায় উঠানামাটা অনেক কষ্টকর হত। ডাঃ রওশন আরা খামন স্যার তত্ত্বাবধায়ক হয়ে আসার পর আল্ট্রাসনোগ্রাফী রুম ১ম তলায় নিয়ে এসেছেন। এখন আর রোগীদের দোতালায় উঠার কষ্ট করতে হয় না।

 

৩। হসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা চিকিৎসা নিয়ে চিকিৎসকের কক্ষ থেকে বের হওয়া মাত্রই মেডিকেল রিপ্রেজেনটিভরা রোগীর চিকিৎসা পত্র (সরকারী টিকিট) নিয়ে দেখা দেখি শুরু করত এতে রোগীরা অনেক বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েযেত  এবং আউটডোরে অনেক ভীড় জমত। এখন আর তা নেই। তত্ত্বাবধায়ক স্যার রিপ্রেজেনটিভদের  নিদৃষ্ট সময় করে দিয়েছেন সে সময় ছাড়া হাসপাতালে ঢুকছে না তাই হাসপাতালের পরিবেশ আগের তুলনায় অনেক ভাল।

 

 ৪। অত্র হাসপাতাল ১০০ শয্যা কিন্ত অন্তঃ বিভাগে ভর্তিকৃত রোগী ১০০ শয্যার তুলনায় অনেক বেশী থাকত যার ফলে রোগীদের বিছানা সংকুলান হতো না রোগীরা মেঝেতে বিছানা পেতে চিকিৎসা সেবা নিত। রোগীরা মেঝেতে থাকার কারনে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের ওয়ার্ড পরিস্কার করতে খুব অসুবিধা হতো। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক স্যার রোগীদের এ দুঃখ দূর্দশা দেখে নিজ উদ্যোগে নষ্ট বেড মেরামত করে ওয়ার্ডের কড়িডোরে রেখে রোগীদের থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এখন আর রোগীদের মেঝেতে থেকে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে না ।

 

 ৫। অত্র হাসপাতালের মর্চুয়ারী বহু বছর ধরে অচল অবস্থায় পড়ে ছিল। অত্র অঞ্চলের জনগন লাশ নিয়ে অনেক ভোগান্তির মধ্যে  পড়ত। বিশেষ করে রোড এ্যাক্সিডেন্ট, আত্নহত্যা এসব লাশ রাখার কোন ব্যবস্থা না থাকায় লাশ নিয়ে খুব  জটিলতায় পড়তে  হত। তাই এই সকল জটিলতা নিরসনে বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক স্যার বহু বছরের অচল মর্চুয়ারী মেরামত পূর্বক সচল করেছেন। এখন লাস নিয়ে আর কোন জটিলতায় পরতে হবে না।

৬। দুর দুরান্ত হতে আগত রোগীরা হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহনকালে বিভিন্ন বিভাগগুলি চিনতে পারত না কোন কক্ষে রক্ত পরীক্ষা, কোন কক্ষে আল্ট্রাসনোগ্রাফী,কোন কক্ষে এক্স-রে, কোন কক্ষে ভায়া টেষ্ট, লেবার রুমটা কোন দিক ভর্তি রোগীরা কোথায় যাবে ইত্যাদি সমস্যা সমাধান এবং রোগীদের সূ-চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করনের লক্ষে তত্ত্বাবধায়ক স্যার অত্র হাসপাতালে হেল্প ডেক্স চালু করেছেন। এখন হেল্প ডেক্স এর মাধ্যমে যে কোন কক্ষ অতি সহজেই চিনে নিতে পারে কোন সমস্যা হয় না।

 

৭। হাসপাতালের দৃশ্যমান জায়গায় ইলেকট্রিক বিল বোর্ড স্থাপন করেছেন। ইলেকট্রিক বিল বোর্ডের মাধ্যমে জন সচেতনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

৮। স্ক্যানো ইউনিট এবং অপারেশন থিয়েটারের এসি, ফ্রিজ, ওটি টেবিল সহ সকল যন্ত্রপাতি মেরামত পূর্বক সচল করিয়াছেন।

 

৯। অত্র হাসপাতালের পুরাতন ভবনের মেরামত কাজগুলি সম্পর্ন করছেন। বহিঃ বিভাগের ভেতরের এবং বাহিরের দেওয়ালগুলি নিজের পছন্দমত রং দিয়ে সূ-দৃশ্যমান করে তুলেছেন।

 

১০। আব্দুল জলিল হেমোডায়ালাইসিস ইউনিট এর ৫ টি বেডের রোগীদের সূ-চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করন সহ সরকারী করনের জন্য অ ক্লা্ন্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।

 

১১। অত্র হাসপাতালের সকল পরীক্ষা নিরীক্ষা চালু রেখেছেন এবং নিরাপদ রক্ত পরিসঞ্চালনের ম্যাধ্যমে রোগীদের সেবা দানের ব্যবস্থা সচল রাখিয়াছেন এবং পুলিশ কেস, ময়না তদন্ত, ধর্ষন সহ সকল পরীক্ষার সর্টিফিকেট যথা সময়ে প্রদানের ব্যবস্থা করেছেন।